জীবপ্রযুক্তি
মৌলিক আলোচনা ও নমুনা উদ্দীপক


* প্রযুক্তির ছোঁয়ায় জীবকে উন্নত করে মানব কল্যাণে প্রয়োগ করার নামই হচ্ছে জীবপ্রযুক্তি।


* দুধ থেকে দই, মাখন ও পনির, পচা ফল থেকে মদ, ময়দা থেকে পাউরুটি সবই প্রকৃতপক্ষে জীবপ্রযুক্তি।


* ঠিক তেমনি উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভিদ প্রজনন, উদ্ভিদ উৎপাদন এবং মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রভুত সাফল্য অর্জিত হয়েছে যাকে আমরা টিস্যু কালচার প্রযুক্তি বলি।


* টিস্যু কালচার, জিন প্রকৌশল, জিন ক্লোনিং, প্লাজমিড, ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ, জিনোম সিকোয়েন্স প্রভৃতি বিষয় বায়োটেকনোলজির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এসব জানতে হয় উন্নত প্রজাতির নতুন টেকসই জাত উদ্ভাবনের জন্য।


(ক) রিকম্বিনেন্ট উঘঅ টেকনোলজি কি? ১
(খ) জিনোম বলতে কি বুঝ? ২
(গ) উদ্দীপকের ‘ih’ চিহ্নিত অংশে যা বুঝানো হয়েছে তার প্রায়োগিক বিষয় লিখ। ৩
(ঘ) উদ্দীপকের গাঠনিক চিত্রের আলোকে পাটের জীবন রহস্য উদ্ভাবন সম্পর্কে আলোচনা কর। ৪


উত্তর (ক) : নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টির জন্য কোনো জীবের DNA তে অন্য কোনো উৎসের DNA সংস্থাপনের মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটানোকে রিকম্বিনেন্ট DNA টেকনোলজি বলে।


উত্তর (খ) : কোনো জীবের সকল ধরনের একসেট ক্রোমোসোমে বিদ্যমান সকল বংশগতিয় তথ্য বা জিন বা DNA এর সমাহারকে জিনোম বলে।


উত্তর (গ) : উদ্দীপকের ‘ih’ চিহ্নিত অংশে দ্বিতন্ত্রী DNA এর নির্দিষ্ট অনুক্রম বা সিকুয়েন্স শনাক্ত করে উভয় সূত্রের বন্ধনী কর্তনকে বুঝানো হয়েছে।


এখানে রেস্ট্রিকশন এনজাইম বা রেস্ট্রিকশন এন্ডোনিউক্লিয়েজ দ্বারা জিনোম সিকোয়েন্সকে কর্তন করা হয়েছে।


যেমন : DNA অণুর যে সব স্থানে ক্ষারকের বিন্যাস প্রকৃতির সেখানে কেবল চার ক্ষারক যুক্ত স্থানগুলো EcoRI রেস্ট্রিকশন এনজাইম দ্বারা কর্তিত হয়। এ এনজাইমটি অন্য কোনোভাবে সাজানো ক্ষারক সমষ্টিকে স্পর্শ করতে পারে না। ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য ব্যাকটেরিয়াতে প্রাকৃতিকভাবে রেস্ট্রিকশন এনজাইম তৈরি হয়। কিন্তু DNA অণুর সুনির্দিষ্ট স্থান কাটার জন্য এটি জিন প্রকৌশলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।


উত্তর (ঘ) : উদ্দীপকের চিত্রটি দ্বারা জিনোম সিকোয়েন্সকে বুঝানো হয়েছে। যে কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের জিনোম সিকোয়েন্স A-C-TG- । এর মধ্যেই জীবনের তাৎপর্য বা রহস্য নিহিত রয়েছে। বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী ২০১০ সালে পাটের জিনোম সিকুয়েন্স আবিষ্কার করেন।

পাটের জিনোম আবিষ্কারের জন্য তোষা জাতের (Corchorus oitorius-4) পাটের জিনোমিক DNA(gDNA) ব্যবহার করা হয়। জিনোমিক সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে পাটের জীবনের রহস্য উন্মোচিত হল। ফলে পাটের গুণগত মান উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

এর ফলে পাটের লবণাক্ত সহনশীল ও পতঙ্গরোধী জাত উদ্ভাবন সহজ হবে বলে বিজ্ঞানীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

 


Comments