আপনি যে প্রতিষ্ঠানেই কাজ করুন না কেন, কিছু সহকর্মী সবসময়ই বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ান। তাদের না পারবেন সহ্য করতে, না পারবেন এড়িযে চলতে।

আবার কেউ হয়ত আপনার খুব কাছের। কিন্তু সেই আবার অন্যের বিরক্তির কারন। কিন্তু আপনি তা জানেন না। আর এই কারনেই কেউ আবার আপনাকে বিরক্তিকর মনে করে।

তাছাড়া আপনি নিজেও হয়ত এমন কিছু করেন যা অন্যের কাছে বিরক্তিকর।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানে “বস” নামক ব্যক্তিরাও মাঝে মাঝে আপনাকে দিয়ে বিরক্তিকর আচরন বের করে ছাড়ে।
জানুন কিভাবে তাদের চিনবেন।


দলবদ্ধ নন

কর্মজীবনে সফলতার জন্য দলবদ্ধ হয়ে কাজের দক্ষতা থাকতে হয়। আপনি যত কর্মঠই হন না কেন, বিভাগের অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

দলের কাজে নিজের দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহী হলে চলবে না। প্রতিযোগী নয়, বরং সহযোগীদেরই বেশি পছন্দ করে মানুষ। একদিন কোনো কাজে অন্যের সহায়তা লাগতে পারে আপনার। কাজেই অন্যের বিপদে আপনিও এগিয়ে যান। যদি দলের মধ্যে থেকেও আলাদা হয়ে যান, তো বিপদ আপনারই।

অলস

যখন সবাই কাজে ব্যস্ত, তখন কাজের টেবিলে বসে ফেসবুক ঘাঁটছেন আপনি। ওই সময় কাজ না থাকলেও অন্যের চোখে অলস কর্মী বলে গণ্য হবেন। যদি একঘেয়ে লাগে তো বাইরে হেঁটে আসুন কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু অলসভাবে টেবিলে বসে থাকবেন না।

একটু জিরিয়ে নেওয়া ভিন্ন বিষয়। আর যদি সত্যি সত্যিই অলস হয়ে থাকেন, তবে কেউ পছন্দ করবে না আপনাকে।

নাটকীয় আচরণ

আপনার স্বভাবে খুব বেশি উত্তাপ ছড়িয়ে থাকে। কিংবা একেবারে শীতল প্রকৃতির। কিংবা আচার-আচরণে নাটকীয়তা ছড়িয়ে থাকে। এ ধরনের কর্মীদের সন্দেহের চোখে দেখে সবাই; কিংবা কৌতুকের পাত্র হয়ে উঠবেন। সহজ, স্বাভাবিক ও সাবলীল থাকুন। আসলে নাটকীয় আচরণের মধ্য দিয়ে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজের অপরিপক্বতার জানান দেয়।

নাক উঁচু

কয়েকজনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা চলছে। এর মধ্যে আপনার মন্তব্য ও কথোপকথনে অহংকার বা হামবড়া ভাবা ফুটে উঠল। এমন নাক উঁচুরা অন্যের চোখে কিন্তু নিচু প্রকৃতির বলেই বিবেচিত হয়ে থাকেন। তাই সবার সঙ্গে বন্ধুসুলভ কথাবার্তা বলুন। অযথা ভাব নেওয়ার চেষ্টা করবেন না।

বাচাল

অতিরিক্ত কথা বলাদেরও পছন্দ করে না কেউ। তা আপনি সহকর্মীদের সঙ্গেই বলেন, কিংবা ফোনে বলেন। তাই নিজের জবানে লাগাম দেওয়া জরুরি।

অন্য কেউ বেশি কথা বললে আপনারও বিরক্ত লাগবে। আপনি যখন অকারণে এবং কোনো কাজ ছাড়া কথা বলছেন তখন অন্যের সময়ও নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

অন্যের কৃতিত্ব দখল

এটা এক ধরনের চুরি। আর এই প্রবণতা যার রয়েছে, তাকে কে-ই বা পছন্দ করবে? যার কৃতিত্ব, তারই তা প্রাপ্য। কাজেই অন্যরা যে কাজ নিজের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে করছে, তা নিজের বলে চালাতে যাবেন না।

 


Comments