ফ্লাইট মিস করার কারণেই বদলে গিয়েছিল অক্ষয় কুমারের জীবন। রাজীব ভাটিয়াকে খিলাড়ি কুমার করে তুলেছিল ওই একটাই ‘ভুল’।

তখন সদ্য মডেলিং করা শুরু করেছেন আক্কি। কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা। বিমান ছাড়ার সময় সকাল ৬টায়। কিন্তু, অক্ষয় ভেবেছিলেন সন্ধ্যা ৬টার বিমানে চাপতে হবে।

ঘড়িতে তখন ভোর ৫টা বেজে ১০। তখনও ঘুমোচ্ছিলেন অক্ষয়। হঠাৎ সেই মডেলিং এজেন্সি থেকে ফোন, ‘কোথায় আপনি?’ পড়ি কী মরি করে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে বলেন, ‘আমি তো ঘরে আছি। ’

এ কথা শুনেই উল্টো দিকের মানুষটি আক্কিকে চূড়ান্ত ভাবে অপমান করে বলেছিলেন,‘তুমি চূড়ান্ত অপেশাদার। জীবনে কখনও উন্নতি করতে পারবে না।

’ নায়ককে ফেলে রেখেই চলে যান তাঁরা।

কাঁদতে কাঁদতে দিনের অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল। কী করবেন সারাটা দিন বুঝতে পারেননি। এর পর রওনা দেন মুম্বাইয়ের নটরাজ স্টুডিওতে। কিন্তু সে দিনই যে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যাবে, এমনটা ভাবতে পারেননি তিনি। স্টুডিওর এক কোণে অক্ষয় তখন দাঁড়িয়েছিলেন।

সে সময় পরিচালক প্রমোদ চক্রবর্তীর কম্পানির মেকআপ ম্যানের চোখে পড়ে যান। তিনি তাঁকে নিয়ে যান প্রমোদ চক্রবর্তীর কাছে।

এবং প্রথম সাক্ষাতেই অক্ষয়কে পরবর্তী তিনটি ছবির জন্য সাইন করিয়ে নেন পরিচালক। গোটাটাই স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছিল নায়কের।

ঘোরটা কাটল সে দিন সন্ধ্যায়। যখন প্রমোদ চক্রবর্তী তাঁর হাতে চেক ধরিয়ে দিলেন। প্রথম ছবির জন্য ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ছবির জন্য ১ লক্ষ টাকা। এবং তৃতীয় ছবির জন্য দেড় লক্ষ টাকা। মোট তিন লক্ষ টাকার চেক ওই সন্ধ্যাতেই তখন তাঁর হাতে।

১৯৯২ সালে মুক্তি পেল প্রমোদ চক্রবর্তী পরিচালিত অক্ষয় অভিনীত প্রথম ছবি ‘দিদার’। বাকিটা ইতিহাস।

সম্প্রতি ‘মিড ডে’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়ার এই কাহিনি তুলে ধরেছেন খিলাড়ি কুমার।

আনন্দবাজার

 


Comments