মাথা বাঁচাতে হেলমেট পরেন ক্রিকেটাররা, কিন্তু তাই বলে মুখে মাস্ক পরে খেলার মাঠে! রবিবার সকালে এমন অভিনব দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা।

সৌজন্যে দিল্লির বায়ু দূষণ। এমনকী বায়ু দূষণের জেরে এ দিন লাঞ্চের পরে কিছুক্ষণের জন্য থমকে থাকে খেলা। ক্রিকেট মাঠে এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।

এ দিন লাঞ্চের পরে খেলা শুরু হতেই দূষণের জেরে শ্রীলঙ্কান পেসার লাকমল মাঠের মধ্যে কাশতে শুরু করেন। বন্ধ রাখতে হয় খেলা। এর পরেই শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দীনেশ চণ্ডীমল-সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার মুখে মাস্ক পরে ফিল্ডিং করতে শুরু করেন। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্যও নতুন।

এরই মধ্যে ট্রিপল সেঞ্চুরির অনেক আগেই ২৪৩ রানে ফিরে যান কোহলি। কিন্তু ভারতের বিপুল রানের চাপের সামনে পড়ে কি না জানা নেই, দূষণ নিয়ে বার বার আপত্তি জানাতে থাকেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা।

এমনকী শ্রীলঙ্কার টিম ফিজিও, ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীও মাঠে নামেন আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। খেলা চালানো নিয়ে বার বার আম্পায়ারদের কাছে আপত্তি জানাতে থাকেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। মাঠে নামেন শ্রীলঙ্কার কোচও। তাঁদের অভিযোগ, ধোঁয়াশার জন্য বল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ধোঁয়াশার জেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ফ্লাডলাইটও।

শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অসুস্থ বোধ করছেন অভিযোগ তুলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। তাঁদের বদলি ফিল্ডার মাঠে নামে। এই করতে করতে একটা সময় শ্রীলঙ্কার বদলি খেলোয়াড়ও আর হাতে ছিল না। বাধ্য হয়ে কিছুক্ষণ দশজনে ফিল্ডিং করে শ্রীলঙ্কা।

মজার বিষয় হল, দৃশ্যমানতা কমে গেলে খেলা হবে কি না, তা নির্ধারণ করতে পারেন আম্পায়াররা। কিন্তু দূষণের জন্যে খেলা চালাতে অসুবিধা হওয়ার মতো পরিস্থিতি সচরাচর তৈরি হয় না। তাই তাঁরা খেলা বন্ধ করেননি।

এর পরেও নাছোড় ছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। খেলা বন্ধের আবেদন জানান তাঁরা। মাঠে চলে আসেন তাঁদের কোচও। শেষ পর্যন্ত মাস্ট্রারস্ট্রোক দেন বিরাট। তিনি ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন। তখন ভারতের রান ৭ উইকেটে ৫৩৬।

ইশারায় কোহলি জানিয়ে দেন, তাঁরা ফিল্ডিং করবেন। ফলে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কোহলিরা অবশ্য মাস্ক না পরেই ফিল্ডিং করতে নামেন।

 


Comments