নিদাহাস ট্রফির বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। পারফর্মেন্সের কারণেই সাধারণত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তার আসার কথা নয়। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। তারপরেও ইমরুলের প্রত্যাবর্তনই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বড় চমক। কিন্তু কেন ফেরানো হলো তাকে? নির্বাচকদের যুক্তিটাও বেশ চমকপ্রদ।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বললেন, 'ইমরুল কায়েসর অন্তর্ভুক্তি তৃতীয় ওপেনার হিসেবে। আমরা চাচ্ছি, যারা ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করতে পারে, এমন একজনকে নিতে।

যেহেতু ইমরুল আমাদের টেস্ট ওপেনার। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে পেসারদের আধিক্য থাকবে। এখানে আপনারা দেখেছেন শ্রীলঙ্কা পেসারদের নিয়ে খেলেছে। ভারতও অনেক পেসার নিয়ে খেলে। ওই সব চিন্তা করেই তৃতীয় ওপেনার হিসেবে ওকে নেওয়া।'

উপমহাদেশের উইকেট সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কার উইকেটও তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অনেক সময় ব্যাটিং সহায়কও থাকে উইকেট।

কিন্তু শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে পেসারদের আধিক্য থাকবে, আর তাদের সামলাতে ইমরুলকে দলে ডাকা হয়েছে; এই যুক্তিটা খুব একটা জোড়ালো নয়। তাহলে কি পেসারদের ভালো খেলতে পারেন এমন ওপেনার কি দেশে আর ছিল না?

এই প্রশ্নটি ওঠার পেছনে যথেস্ট যুক্তি আছে। ইমরুলের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার পুরোপুরি বিবর্ণ। বাংলাদেশ দল যেখানে সবচেয়ে কম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে ১৪ ম্যাচ খেলে রান করেছেন মাত্র ১১৯।

গড় বেশ বিব্রতকর, মাত্র ৯.১৫! সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৬ রানের। আর স্ট্রাইক রেট? সেটা মোটেও টি-টোয়েন্টি সুলভ নয়। ৮৮.৮০ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটসম্যানকে অন্তত টি-টোয়েন্টিতে বিবেচনা করা যায় না।

এরপরেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক বললেন, 'আরও ব্যাটসম্যান অবশ্যই আছে। আমরা অভিজ্ঞতাকে একটা কারণেই মূল্যায়ন করেছি যে, যেহেতু আমাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজটা খুব খারাপ গেছে। এখন যদি সে অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাতে পারে!'

ঘরের মাঠে তিন তিনটি সিরিজে দল নির্বাচন নিয়ে বারবার সমালোচনা শিকার হতে হয়েছে নির্বাচকদের। উদ্ভট সব সিদ্ধান্তে ছন্নছাড়া লেগেছে ঘরের মাঠের একসময়কার 'বাঘ' বাংলাদেশকে। এবার দেখার বিষয় শ্রীলঙ্কার মাটিতে নির্বাচকদের এই যুক্তি কতটা কাজে দেয়।

 


Comments