টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে মাত্র একটি বাউন্সার দেওয়া যায়। ইনিংসের শেষ ওভারে যখন টানটান উত্তেজনা, ঠিক ওই সময় ঝামেলাটা সৃষ্টি করেছেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ারই। লেগ আম্পায়ার দ্বিতীয় বাউন্সারকে নো-বল দেখিয়েছিলেন কিন্তু মূল আম্পায়ার সেটা অগ্রাহ্য করেছেন। ওই সময়ে একটি বাড়তি রান, বাড়তি বল ও ফ্রি হিটের মূল্য যে অপরিসীম।

রিপ্লেতেও দেখা দ্বিতীয় বলটি প্রথম বাউন্সারেরও ওপর দিয়ে গিয়েছে। পরপর দুটি বাউন্সারকে আম্পায়ার বৈধতা দিয়ে দেন। এতেই শুরু হয় বিপত্তি। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে টাইগার শিবির। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে গেল অধিনায়ক সাকিবসহ পুরো দল।

সাকিব অভিযোগ তুললেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠে মাহমুদউল্লাহও তখন ফিল্ড আম্পায়ারকে বিষয়টা বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। কেউ কোন কথা কানে তুলছে না।

অথচ ভিডিও ফুটেজ বলছে, সেটা আসলেই নো বল ছিল। তাই এক পর্যায়ে সাকিব মাঠ থেকে চলে আসার জন্য দুই ব্যাটসম্যানকে ইশারা করেন।

সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। ৪ বলে ১২ রান দরকার, এমন অবস্থায় কি তবে ম্যাচ থেমে যাবে? শেষ ওভারে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ কি আসলেই মাঠে ছেড়ে উঠে আসার ঘটনা ঘটাবে? তাহলে যে ডিসকোয়ালিফাইড হবে বাংলাদেশ।

এই বিতর্ক গড়াবে আরও বহুদূর। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটেই ম্যাচ বয়কটের ঘটনা আছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, যেটি আজও আলোচিত হয়।

শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কেও দাগ থেকে যেত সন্দেহ নেই।

পরে কোচ ওয়ালশ ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের হস্তক্ষেপে খেলা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই মাহমুদউল্লাহ’র বীরোচিত ইনিংসে ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।

 


Comments