ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয় সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকা- থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গতকাল বিকেলে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে অব্যাহতি দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনেছিল সরকার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। অব্যাহতি চেয়ে সংগঠনটি ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে তাঁরা। অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি আগমী সিন্ডিকেটে তোলা হবে।’ অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান 'জ্যোতির্ময় জিয়া' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। যেখানে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে যখন পাক-হানাদার বাহিনী এ দেশের নিরীহ, নিরপরাধ ও ঘুমন্ত মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে, তখন তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধের লেশমাত্র পাওয়া যায়নি।

আর মানুষ এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না। ফলে বিনা প্রতিবাদে ও বিনা বাধায় ঝরে যায় মূল্যবান জীবন ও বিনষ্ট হয় অনেক সম্পদ। এমনি এক পরিস্থিতির মাঝে আওয়ামী নেতাদের বেশির ভাগই তাদের পরিবার-পরিজনসহ ভারতে চলে গেলেন, এ দেশবাসীকে মৃত্যুর ফাঁদে ফেলে দিয়ে। নেতৃত্বহীন অবস্থায়। যাকে ঘিরে এ দেশের মানুষ মুক্তির স্বপ্ন দেখত সেই শেখ মুজিবুর রহমানও।

জাতির এই সঙ্কটকালীন মুহূর্তে ত্রাতারূপে আবির্ভূত হন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। দেশপ্রেমের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত এই টগবগে যুবকের কণ্ঠে ২৬ মার্চ রাতে বর্জের মতো গর্জে ওঠে স্বাধীনতার ঘোষণা।’ এ লেখার প্রতিবাদ করে ২৮ মার্চ বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ।

তারা দাবি করে, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর শাসনামল নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন।

 


Comments