রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ফলাফল প্রকাশের প্রায় সাত বছর পার হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়েও তিনি এখনো বেকার।

এই কয়েক বছরে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অসংখ্যবার লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও নিজেকে উৎরাতে পারেননি তিনি। ইচ্ছা ছিল মেধা ও যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হবেন। পরিবারে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি দেশ সেবায় নিয়োজিত করবেন নিজেকে।কিন্তু এখন তিনি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি।

গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট থেকে কিছুদিন পর পর ইন্টারভিউ দিতে ঢাকায় আসেন। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আর সরকারি চাকরির আশায় অন্য চাকরির প্রতি এতটা ঝোঁক ছিল না। তবে, এই কয়েকবছরে দু’ একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানে চাকরি পেলেও সম্মানী খুবই কম হওয়ায় তা তার জীবনযাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলনা। ফলে, সেই সব চাকরি ছাড়তে হয়েছে তাকে। কিছুদিন আগে সরকারি একটি প্রতিষ্টানে অডিটর পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছেন।

বর্তমানে চরম হতাশ আলী আজম বলেন, সরকারি চাকরিতে এটাই আমার শেষ সুযোগ। এই কয়েক বছরে অনেক চেষ্টা করেছি। উচ্চশিক্ষিত হয়েও বেকার। আর বেকার বলে নানাজনের নানা কথা শুনতে হয়।

চাকরি হয়েছে কি না, কেন হচ্ছেনা, কবে হবে- সবাই জানতে চায়। মাঝে মাঝে পরিবার স্বজনদের কাছ থেকে প্রচন্ড চাপ আসে। নিজেকে সবসময় ছোট মনে হয়। এ হতাশা বোঝানো যাবেনা। শুধু আলী আজমই নন।

উচ্চশিক্ষার সনদ রয়েছে। কিন্তু চাকরি নেই। প্রতিবছর সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে সনদ নিয়ে বেকারত্বের বোঝা বয়ে ঘুরছেন দেশের লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। যাদের বেশির ভাগেরই অভিভাবক সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন বহু কষ্টে। সন্তানের পড়াশোনার জন্য অনেকেই যেমন জমানো অর্থ খরচ করেছেন, তেমনি অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারেননি।

আবার কেউ সুদে টাকা ধার করে, জমিজমা বিক্রি করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের ভোগ বিলাসিতা বিসর্জন দিয়েও সন্তানের পড়ার খরচ চালিয়েছেন। কিন্তু সন্তান উচ্চ শিক্ষিত হলেও বেকার হয়ে ঘুরছে দিনের পর দিন। কেউ কেউ হয়ে পড়ছেন পরিবারের বোঝা। এতে করে শিক্ষিত বেকারদের হতাশা ও মানসিক চাপ যেমন বাড়ছে, তেমনি পরিবারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়ে পারিবারিক বন্ধনও কমে আসছে।

মেধা, যোগ্যতা থাকার পরও চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে কেউ কেউ হয়ে পড়ছে মাদকাসক্ত, জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গিবাদ, ছিনতাইসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালিত সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ (২০১৬-২০১৭) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ। জরিপে দেখা গেছে, জাতীয় বেকারত্বের গড় হার ৪ দশমিক ২ ভাগ। আর মোট বেকারত্বের ১১ দশমিক ২ ভাগই শিক্ষিত। এরমধ্যে উচ্চশিক্ষিত বেকার রয়েছেন ১৫ দশমিক ১ ভাগ। বিবিএসের কর্মকর্তারা জানান, প্রবৃদ্ধি হলেও সেই তুলনায় দেশে কর্মসংস্থান বাড়ছে না। ফলে, বেকারের সংখ্যাও বাড়ছে।

বিবিএসের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ) বলছে, বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েটধারী শিক্ষিতদের ৩৪ দশমিক ৩ ভাগই (এক-তৃতীয়াংশ) বেকার। আর যুব বেকার রয়েছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। এইচএসসি পাস বেকার রয়েছে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ৩৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভিন্ন পরীক্ষায় পাস করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৬ জন।

এর মধ্যে স্নাতক পাস পর্যায়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৫১ জন, স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৬ জন, কারিগরি স্নাতক পর্যায়ে ১৪ হাজার ৬৪ জন, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২ লাখ ২ হাজার ১৯০ জন, কারিগরি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২ হাজার ৩০২ জন, বিভিন্ন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে ১ হাজার ৫৩৬ জন এবং এমফিল, পিএইচডি সমমান পর্যায়ে ১ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।

আর দেশের ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি পরিচালিত বার্ষিক প্রতিবেদনে (২০১৬ সাল) দেখা যায়, একাডেমিক কার্যক্রম চলছে এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ডিগ্রি লাভ করেছেন ৬৫ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী যা ২০১৫ সালের তুলনায় ৩ হাজার ৭১০ জন বেশি।

২০১৬ সালে উত্তীর্ণ ৬৫ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে স্নাতক, কারিগরি ও প্রযুক্তিতে ১৭ হাজার ৬৪৬ জন এবং মাস্টার্স কারিগরি ও প্রযুক্তিতে ৫৬২ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি লাভ করেছেন।

অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, গবেষকরা বলছেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে ৫ লাখের বেশি উচ্চ শিক্ষিত। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই চাকরি পাচ্ছেন না। অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের মতে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই শিক্ষিতদের বেশ বড় একটি অংশ প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। একই সঙ্গে সরকারি শূন্যপদগুলোও নিয়মিতভাবে পূরণ হয় না। আর বেসরকারি খাতে বর্তমানে বিশেষজ্ঞ, কারিগরি ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিতদের চাহিদা বেশি। যে কারণে প্রচলিত ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের বেসরকারি খাতে চাকরি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পাওয়ায় অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

একদিকে চাকরি না পাওয়ায় এসব শিক্ষিত জনবলকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে বেকারদের একটি অংশ জড়িয়ে পড়ছে নানা সামাজিক অপরাধে। আর চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কা ও হতাশা থেকে উচ্চ শিক্ষিত মেধাবীদের একটি অংশ চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। ফলে, তাদের মেধা ও সেবা দেশের কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশই বেকার। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা গড়পড়তা বেকারের তুলনায় অনেক বেশি।

আর যুব বেকার ও গ্র্যাজুয়েট বেকারের সংখ্য আরো বেশি। সার্বিকভাবে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে যারা স্বল্পশিক্ষিত তাদের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা কম। কিন্তু যখন উচ্চ শিক্ষিতের হার বাড়ে তখন বেকারত্বের হারও বাড়ে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষিত বেকারত্বের স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, যে পরিমান জনগোষ্ঠী প্রতিবছর কর্মবাজারে প্রবেশ করছে, সেই পরিমাণ কর্মসৃজন হচ্ছে না। আর শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত পেশাদারিত্বের যে চাকরি, সেই চাকরি সৃষ্টির সংখ্যা কম। ফলে, বেকারত্বের সংখ্যাটা আরো বড়ভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের সমস্যা রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে খুব নির্ভরযোগ্য কোনো গবেষণা এখন পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে যা দেখছি তাতে বেকারত্বের সমস্যা আছে এবং তা ভালোভাবেই আছে। তবে, এখন শিক্ষিতদের অনেকেই বিভিন্ন কাজে যুক্ত হচ্ছে।

এমনকি অনেকে মাছ চাষও করছেন। ফলে বেকার সমস্যা কিছুটা কমে আসছে বলে আমার মনে হয়। আর বেকারত্ব নিয়ে নতুন করে যদি গবেষণা হয় তাহলে সঠিক তথ্য জানা যাবে। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো জাতীয় পরিকল্পনা নেই। সরকারের উন্নয়নের কথা বলা হলেও বেকার সমস্যা নিরসনের কথা কেউ তেমনভাবে বলছে না।

অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান ‘বিডিজবস’র জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. শামীম হাসান বলেন, চাকরি প্রার্থীরা প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জীবনবৃত্তান্ত আমাদের প্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন করে। গত এক মাসে ৬ থেকে ৭ হাজার সিভি জমা পড়েছে।

তিনি বলেন, একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেই প্রতিদিন অন্তত ৩ হাজার সিভি জমা পড়ে। যাদের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ব্যাংকের চাকরিতে। দেখা গেছে, একটি ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার সিভি আসে।

বাংলাদেশ বাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নতুন করে আরো যোগ হচ্ছে। বেকারত্বের এই সমস্যাটি মারাত্মক। এটি মোটেও আমাদের জন্য ভালো ব্যাপার নয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটি বিরাট ব্যাপার।

তিনি বলেন, তরুণরা লেখাপড়া শিখে যদি চাকরি না পায়, তাহলে তারা পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারে না। এতে করে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। আর হতাশা থেকে তারা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ ও বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক তরুণ রয়েছে। তারা উৎসাহী। তাদের প্রডাকটিভিটি আছে। তাদের দিয়ে কাজ করানো যায়। কিন্তু তারা শিক্ষিত হলেও তাদের মেধা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অনেক তরুণ বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে, এই সুযোগটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতি।

এ নিয়ে এখন থেকেই গুরুত্ব দিতে হবে। তবে, আমাদের যে শিক্ষা ব্যবস্থা এটা যেন প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আরো কার্যকরি হয়। কারিগরি শিক্ষার প্রতি আমাদের আরো গুরুত্ব দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বেকারত্ব নিরসনে ক্ষুদ্র ও মাঝরি শিল্পের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের যে পরিসংখ্যান বলা হচ্ছে তা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়। প্রতিবছর যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পাশ করে বেরুচ্ছে তাদের বড় অংশই বেকার। পাশ করার পর অনেকের পাঁচ বছরেও চাকরি হয় না। পদ যদি থাকে ২০টি, আবেদন জমা পড়ে ২০ হাজার।

এরপর চাকরি ক্ষেত্রে থাকে নানা শর্ত। চাকরি না পেয়ে অনেকের বয়সও পেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, যে পরিমাণ চাকরির সৃষ্টি হওয়া দরকার সেই হারে যদি চাকরি বা কাজ সৃষ্টি না হয় তাহলে তো বেকারের সংখ্যা বাড়বেই। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিএ, এমএ পাস করাবে। কিন্তু যেকোনো কাজ তো তারা করতে পারবে না। ভবিষ্যতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় মাপের পরিবর্তন আনতে হবে বলে মত দেন ড. আবুল বারাকাত।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের কী ধরনের চাকরির চাহিদা তৈরি হবে এবং কী ধরনের শিক্ষিত মানুষ প্রয়োজন সে বিষয়ে পরিকল্পিতভাবে এগুতে হবে। প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠন করতে হবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’র (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেখা যাচ্ছে আমাদের গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলে মেয়েরা যত বেশি লেখাপড়া শিখছে তত বেশি বেকার বেড়ে যাচ্ছে। তাই, শিক্ষার যে মান সেটা কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি দিতে পারছেনা। বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার পিছনে লাখ লাখ টাকা খরছ করছেন।

কিন্তু তাদের বুঝতে হবে শুধু সরকারি চাকরির আশায় এম এ, বিএ পাশ করলে তো হবেনা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মান বাড়াতে হবে। কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর আরো গুরুত্ব দিতে হবে। বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানের প্রয়োজন এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে উল্লেখ করেন আহসান এইচ মনসুর।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে চাকরি ক্ষেত্রে বিশেষ করে বেসরকারিখাতে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তণ যেভাবে হচ্ছে, তাতে আমাদের বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি যদি আরো ভাল না হয় তাহলে আমরা আরো পিছিয়ে যাবো। আর কারিগরি শিক্ষার মান ও সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে হবে।

 


Comments