প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও।তোমাদের জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা আসছে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে প্রতিটি দিনই তোমাদের জন্য মূল্যবান।

ভালো ফলাফলের জন্য পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় মনোযোগ দিয়ে পড়বে এবং ছোট ছোট অনেকগুলো প্রশ্ন তৈরি করার চেষ্টা করবে। এতে অধ্যায়টি সম্পর্কে তোমার ভালো ধারণা থাকবে।

আজকে তোমাদের পাঠ্য বইয়ের “রাসায়নিক বিক্রিয়া” অধ্যায়ের রচনামূলক সৃজনশীল প্রশ্ন তোমাদের জন্য তুলে ধরা হলো।

২. নূসফাত তার পুতুলে ব্যাটারির সংযোগ দিয়ে পুতুল নাচ দেখছিল। এমন সময় বিদ্যুত্ চলে যাওয়ায় ওর ছোট বোন ঐশী একটি মোম জ্বালিয়ে আনল।

ক. প্রশমন বিক্রিয়া কী?

খ. লাইম ওয়াটার বলতে কী বুঝায়?

গ. নূসফাতের পুতুলে ব্যবহূত ব্যাটারির গঠন ব্যাখ্যা করো।

ঘ. পুতুল ও মোমবাতিতে শক্তির কী ধরনের রূপান্তর ঘটে? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর:

ক. যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি এসিড ও একটি ক্ষারকের সংযোগে লবণ ও পানি উত্পন্ন হয় তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

খ. পানিতে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড [Ca(OH)2] এর সম্পৃক্ত দ্রবণেই চুনের পানি বা লাইম ওয়াটার বলে। চুনের সাথে কুইক লাইমের জলীয় দ্রবণ তথা লাইম ওয়াটার উত্পন্ন হয়।

CaO + H2O Ca(OH)2

গ.নূসফাতের পুতুলে ব্যবহূত ব্যাটারিটি হলো ড্রাইসেল বা শুষ্ককোষ। নিম্নে নূসফাতের পুতুলে ব্যবহূত ব্যাটারি তথা শুষ্ককোষের গঠন বর্ণনা করা হলো-

প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl), কয়লার গুঁড়া এবং ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড (MnO2) ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ পানি যোগ করে একটি পেষ্ট বা লেই তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার চোঙে নিয়ে তার মধ্যে একটি কার্বন দণ্ড বসানো হয় এমনভাবে যাতে দণ্ডটি দস্তার চোঙকে স্পর্শ না করে।

কার্বন দণ্ডের মাথায় একটি ধাতব টুপি পরানো থাকে। শুষ্ক কোষের উপরের অংশ কার্বন দণ্ডটির চারপাশ পিচের আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। দস্তার চোঙটিকে একটি শক্ত কাগজ দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। এখানে দস্তার চোঙ ঋণাত্মক তড়িত্দ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে আর ধাতব টুপি দিয়ে ঢাকা কার্বন দণ্ডের উপরিভাগ ধনাত্মক তড়িত্দ্বার বা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে।

এখন আমরা দেখে নিই কীভাবে শুষ্ক কোষ কাজ করে।

ঘ. যেকোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় শক্তির রূপান্তর ঘটে। অর্থাত্ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এক শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ব্যাটারি বা ড্রাইসেল তৈরির সময় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ অর্থাত্ দস্তা, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুড়া, ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড ব্যবহূত হয়।

রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এসব পদার্থে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুত্ শক্তিতে পরিণত হয়। পুতুলে ব্যাটারির সংযোগ দিলে পুতুল যখন নাচতে শুরু করে তখন বিদ্যুত্ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

আবার যখন মোমবাতি জ্বালানো হয় তখন মোমের দহনের ফলে রাসায়নিক শক্তি তাপ শক্তিতে পরিণত হয়। একই সময় কিছু পরিমাণ রাসায়নিক শক্তি আলোক শক্তিতেও রূপান্তরিত হয়।

 


Comments