রমযানে ইফতার শুরুর প্রক্রিয়া হওয়া উচিত সংযমের সাথে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ও একটু রয়ে সয়ে।

আজানের সাথে সাথে রোযাভেঙ্গে, তাড়াহুড়ো করে প্লেট ভর্তি ইফতার খেয়ে নিলে নামায পড়াটা যেমন কষ্টদায়ক ও অস্বস্তিকর, পাশাপাশি বদহজম , পেট ফাঁপানো ও ঘন ঘন ঢেঁকুর ওঠা সহ বিভিন্নরকম সমস্যা হতে পারে।

এসকল অসুবিধাগুলো আরেকটু বেড়ে যায়, যদি ইফতারের উপকরণগুলো- তেলে ভাজা বুট, বড়া, বেগুনী ও আলুর চপসহ নানা অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঠাসা থাকে ।

এমতাবস্থায়, খাদ্য হজমে অসুবিধা হয়, শরীরে ঠিকমত শক্তির যোগান পেতে পারে না ও যাবতীয় চলাফেরাসহ ইবাদত পালনে অসুবিধা হয় ।

আষাঢ় মাসে, ঘামঝরানো দীর্ঘ সময়ের উপবাসের পর, শরীরের অবস্থা বুঝে অল্প দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে ভারি খাবারের দিকে যাওয়া উচিত। শুরুতে পুষ্টিকর হাল্কা খাবার পানিসহ একটু সময় নিয়ে খাওয়া দরকার।

সারা দিনের উপবাসের পর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পেটে গেলে, শরীর তার প্রায় পুরোটাই শুষে নিতে চায় ও অধিকতর ভারি খাবার হজমের জন্য পরিপাকতন্ত্রে শক্তি সঞ্চয় করে।

ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমানরা খেজুর ও পানি খেয়ে রোযা ভেঙে আসছে। খেজুর রোযা ভাঙার জন্য একটি আদর্শ ফল।

এটি বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, উঁচু মাত্রার প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু আঁশযুক্ত ফল।

খেজুর সহজপাচ্য , খাদ্য হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। খেজুর খেয়ে রোযা ভাঙার অল্প সময়ের মধ্যে উহা বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি অনেকটা পূরন করে ক্লান্ত শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়।

পবিত্র কুরআনশরীফ ও হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় খেজুরের উপকারিতার কথা বলা আছে। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “রোযাদারদের খেজুর দিয়ে রোযা ভাঙ্গা উচিত।”

-ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ
লালমাটিয়া, ঢাকা

ইমেইল: nasiruddin@gmail.com
মোবাইল: ০১৯৩৭৪০৪৫৫৮

 


Comments