নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বহিরাগত চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র মতে, আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি বিভাগে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক এবং আইসিটি সেলের কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ড শুরু হচ্ছে। এর আগে গত ৭মে এসব নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে প্রশাসন। ছাত্রলীগের সাবেক ও বহিরাগত চাকরি প্রত্যাশী এবং বর্তমান নেতাকর্মীদের আন্দোলনে এরআগে কয়েকবার এসব নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হয়।
এরপর গত ২৭মে আবার নিয়োগ বোর্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এ ঘোষণায় একই দাবিতে গতকাল শনিবার রাত ৮টা থেকে আবারও আন্দোলনে নামে তারা।
রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম নিজ নিজ কর্মীসহ বহিরাগতদের সাথে যোগ দেয়।
রাত দশটার দিকে সভাপতি-সম্পাদক কর্মীদের নিয়ে ফিরে গেলেও সাবেক নেতা ও বহিরাগতরা আন্দোলন চালিয়ে যায়। তাদের সরিয়ে দিতে ইবি থানা ও কুষ্টিয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসন। তবে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন ব্যক্তিকে আসতে দেখা যায়নি বলে জানা গেছে।
পরে রাত সাড়ে ১১টায় আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এতে সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে ফিরে যায় আন্দোলনকারীরা। এদিকে নিয়োগ বোর্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন।
সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে কয়েক দফায় মাইকিং করেছে কতৃপক্ষ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডসহ চলাচল করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। একই সাথে মেইন গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং র্যাবের টহল অব্যহত রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রয়োজন ছাড়া কেউ প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে মাইকিং হচ্ছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে। সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।