বাংলাদেশ দলের হয়ে রুবেল খেলছেন নয় বছর হয়ে গেল। দলের নিয়মিত পেসার বলা যায় তাকে। বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা এবং অনুসরণীয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার পরেই পেস বোলার হিসেবে দীর্ঘ ক্যারিয়ার তার।

২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক। ওই ম্যাচেই শ্রীলংকাকে হারিয়ে স্বপ্নের মতো অভিষেক রুবেল হোসেনের। প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ। ১৬ জানুয়ারি শ্রীলংকার বিপক্ষে ফাইনালটাও তার স্বপ্নে মতো হতে পারতো। কিন্তু শুরুতেই তার নামে ট্রাজির হিরোর পোস্টর শেটে যায়।

শ্রীলংকা, জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিদেশীয় খেলা ছিল ওটি। বাংলাদেশ-শ্রীলংকার ফাইনালে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৫২ রান করে। কিন্তু ওই রানের জয়ের দুয়ারে ছিল বাংলাদেশ।

১১৪ রানে শ্রীলংকার নেই ৮ উইকেট। জয়ের জন্য ৩৬ বলে ৩৯ রান দরকার বাংলাদেশের। জয় শ্রেফ সময়ের ব্যাপার। ৪৫তম ওভারে বল হাতে নিলেন নাঈম ইসলাম। দিলেন মাত্র ৪ রান।

পরের ওভারে রুবেল মুরালির হাতে গুনে গুনে খেলেন ২০ রান। এরপরের ওভারে এসে সাকিব দিলেন মোটে ২ রান। তিন ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ এক ওভারেই মিলিয়ে দিলেন রুবেল। আবার দিলেন ১২ রান। ওই দুই উইকেটের হার বাংলাদেশের।

এরপরের সেদিনকার কথা নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল। দুই ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ৩৪ রান। রুবেল এসে দিলেন ২২ রান। দিনেশ কার্তিকের কাছে খেলেন দুই চার, দুই ছয়।

আফগানদের বিপক্ষে টি২০ সিরেজের দ্বিতীয় ম্যাচে রুবেল আবার সেই শেষের দিকে এসে খেলেন ২০ রান। ১৯ তম ওভারে এসে দিয়ে দিলেন ২০ রান। সেখানে দুই ওভারে ২০ রান দরকার ছিলো আফগানদের। এর আগে ২০১২ সালে রুবেল দেশের মাটিতে টি২০ তে মারলন স্যামুয়েলসের হাতে শেষ ওভারে ২৯ রান খান।

রুবেল অবশ্য শেষের দিকে বল করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এক জয় এনে দেন। গত বিশ্বকাপে রুবেলের শেষের বল হাতে নিয়ে জয় তুলে নেওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ হয় গেছে।

কিন্তু ডেটথ ওভারে রুবেলের সাফল্যের তরী উজানেই বেশি গেছে। পেসার হিসেবে তাকে শেষের ওভারে বল করার দায়িত্ব নিতে হবে। বাড়াতে হবে দক্ষতা। আর তা না হলে হয়তো ’ট্রাজিক হিরো’ নামটা স্থায়ীভাবে জুটে যাবে রুবেলের নামে।

 


Comments