সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খাদিজা খাতুন (২১) নামে এক কলেজছাত্রী পুরুষে রূপান্তর হয়েছেন। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর তাড়াশ সদরের সর্দারপাড়ায় বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

খাদিজাকে দেখার জন্য শত শত উৎসক জনতা বাড়িটিতে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানা যায়, তাড়াশ সদরের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক হাসমত আলীর তৃতীয় মেয়ে খাদিজা খাতুন সেতু এসএসসি ও এইচএসসি তে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকাতে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা করছেন।

থাকতেন একটি মহিলা হোস্টেলে।

খাদিজা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। লজ্জায় কাউকে না বলে বিষয়টি গোপন রাখেন।

এ দিকে সেতু বিষয়টি গোপন রাখলেও ধীরে ধীরে তার শারীরিক ও মানুষিক অবস্থার পরিবর্তন ও গতিবিধি হোস্টেলে অবস্থানরত অন্য মেয়েদের সন্দেহ হলে সেতু তার এই বিষয়টি সবাইকে বলে দেন।

পরে সেতু বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলেন। তার মা-বাবা ও অন্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে ঢাকার একটি ক্লিনিকে নিয়ে মেয়েটিকে ডাক্তার দেখান।

এ বিষয়ে খাদিজার ভগ্নীপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকায় ডাক্তার খাদিজার পুরুষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর হওয়া খাদিজা খুশি হয়ে নিজের নাম রেখেছেন সাহুল সিদ্দিক।


ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে শিশুসহ ১৭ নারী

দুই বছর ভারতে কারাভোগ শেষে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় শিশুসহ ১৭ নারী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এসব নারী যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত পথে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছিলেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, দেশে ফিরে আসা নারীরা দুই বছর আগে ভালো কাজের আশায় দালালের মাধ্যমে যশোরের বিভিন্ন পথে ভারতে যায়।

ভারতের মুম্বাই শহরে যাওয়ার পর সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও তাদের জামিনে মুক্ত করে তাদের শেল্টার হোমে রাখে। দুই দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

দেশে ফিরে আসা নারীদের বাড়ি যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবাইকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পোর্ট থানা থেকে এনজিওর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

 


Comments