বিতর্কিত ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বাতিলের দাবিতে উত্তাল ভারত। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।

সম্প্রতি ইসলামবিদ্বেষী এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে এরকম একটি পোস্টার সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিক্ষোভরত এক যুবকের হাতে থাকা ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে- ‘মা বলেছে-যদি গুলি চলে মিছিলে প্রথম গুলি যেন লাগে তোর কপালে’

পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। উত্তপ্ত উত্তর প্রদেশেই তিন দিনের সহিংসতায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের বর্ণবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
আইনটি বাতিলের দাবিতে নতুন করে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে এসেছেন।

‘সব শালাকে মেরে ফেল’ বলেই গুলি চালাল ভারতীয় পুলিশ!

ভারতে বর্ণবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ থেকে এবার পুলিশের গুলি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।


শনিবার কানপুরে ভিডিওটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের গুলি নিয়ে যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানপুরের রাস্তায় দাউ দাউ করে জ্বলছে দুটি গাড়ি। উল্টো দিক থেকে তখনও ইটের টুকরো এসে পড়ছে রাস্তায়। সেফটি জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের হঠাতে নিক্ষেপ করা হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসের সেল। তার মধ্যেই বন্দুকের ‘সেফটি ল্যাচ’ খুলে সামনের দিকে ছুটে গেলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

এসময় পেছন থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ‘মেরে ফেল সব শালাকে।’ সে কথা কানে যেতেই ট্রিগারে চাপ দিলেন তিনি।

বিতর্কিত ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গত তিন ধরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ গোটা উত্তরপ্রদেশে।

পুলিশের গুলিতে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে, যার মধ্যে রয়েছে ৮ বছরের শিশুও।

 


Comments